খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই স্কুলছাত্রী উপজেলার নিউগী কুশমাইলের বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের বড় মেয়ে। সে সরকারী ফুলবাড়িয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার সুমাইয়া তার বান্ধবীদের সঙ্গে প্রাইভেট পড়ে বাসায় যায়। বাসায় তার বোনের সঙ্গে ঝগড়া হলে মা দুই মেয়েকেই বকা দেন। বড় মেয়ে সুমাইয়াকে একটু বেশি বকা দেন। এতে সে অভিমান করে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে উড়না ফ্যানের হুকের সঙ্গে লাগিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এতেই তার মৃত্যু হয়। বাবা সাইফুল ইসলাম সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিস খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় গিয়ে দেখেন মেয়ে ফ্যানে ঝুলছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ নামিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক খন্দকার মো. লুৎফুর রহমান বলেন, ‘অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ও মেধাবী ছাত্রী ছিল সুমাইয়া। কিন্তু কেন হঠাৎ এত অভিমান হলো তার?’
ফুলবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জোতিষ চন্দ্র দেব জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।



0 Comments