কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নৌকা স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক। নৌকা বিজয়ী হলে এদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটে। আর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোটে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মণিরামপুর পৌর নির্বাচন উপলক্ষে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত নেতাকর্মী ও জনতার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সা¤্রাজ্যবাদী চক্রান্তে দেশ স্বাধীনের মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু সপরিবারে শাহাদাবরণ করেন। এরপর দেশকে ধ্বংস স্তূপে পরিণত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং জেল-জুলুম শিকার করে দলকে সুসংগঠিত করে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেন। এরপর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আজ দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশে^র বিভিন্ন দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের মডেল গ্রহণ করছে। যদি সৎ উদ্দেশ্য থাকে তবে সাফল্য অনিবার্য। উন্নয়ন এবং অগ্রগতি কোনোকিছুতেই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা তারই বাস্তব উদাহরণ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেনের পরিচালনায় তিনি আরো বলেন, এ উন্নয়নের অংশীদার হতে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কা বিজয়ী করতে হবে। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ কাজী মাহমুদুল হাসান।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী রায়হান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু।
উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অজয় সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হাসান হ্যাপী, রেজাউল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নূরজাহান ইসলাম নীরা, জেলা যুব মহিলালীগের সহসভাপতি ও মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম প্রিন্স, রবি সিদ্দিকী, খলিলুর রহমান, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেত্রী হাজেরা পারভীন, জেলা পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য হুমায়ুন সুলতান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মাসুমা আক্তার পলি, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা লুৎফুল কবির বিজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাসুদ রানা মিলন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রীতা পাঁড়ে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ ঘোষ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মিল্টন, উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম আলাউদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী, মনিরুজ্জামান মনি, গাজী মাযাহারুল আনোয়ার, আবুল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক অরবিন্দু হাজরা, সাবেক ছাত্রলীগনেতা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান প্রমুখ।



0 Comments