সর্বশেষ

8/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মানব পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার - প্রিয় যশোর নিউজ২৪/৭

 

মানবপাচারকারী একটি চক্র লন্ডনে বসবাসের সুযোগ ও চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পাসপোর্ট ও ভুয়া ভিসা দেখিয়ে  বিদেশগামীদের সঙ্গে এমন প্রতারণা করছে তারা। সম্প্রতি এক অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নেমে মানবপাচারকারী এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। তবে পিবিআই বলছে, যারা প্রতারিত হয়ে থাকেন, তারা সর্বস্বান্ত হওয়ার পর আসেন পুলিশের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই’র সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
গ্রেফতার তিন মানবপাচারকারী হলো— শাহীন হাসান (৪৯), তারেক মাহমুদ গালিব (২৮) ও বকুল হোসেন ওরফে রতন হাওলাদার (৪৮)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে  চক্রের অপর সদস্য মিজান ওরফে শাহেদ ছিদ্দিকী।
সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘মানবপাচারকারী এই চক্রটি নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতো। ওয়েবসাইটে  টার্গেট ব্যক্তিদের পাসপোর্টের নম্বর দিয়ে বলতো যে, তাদের ভিসা প্রস্তুত হচ্ছে এবং তাদের চাকুরি হচ্ছে।’
ডিআইজি বনজ কুমার বলেন, ‘সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডে পাঠানোর নামে একজন ভুক্তভোগীকে ওয়েবসাইটে তার ভিসা দেখতে বলেন। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপ করতে তারা ভুলে যায়। এ সময় ভুক্তভোগীরা ভারতীয় ওয়েবসাইটে আয়ারল্যান্ডের ভিসা চেক করতে গিয়ে দেখতে পান ‘দিস ইজ নট জেনুইন’ লেখা তথ্য। পরে তাদের সন্দেহ হয়।’
পিআইবি প্রধান জানান, এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বরে হাতিরঝিল থানায় মো. আলী চৌধুরী নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন। তিনিসহ তার আরও পাঁচ আত্মীয়কে আয়ারল্যান্ডে পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে ছয়টি পাসপোর্ট ও ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।
তিনি জানান, এছাড়াও ভুক্তভোগীদের হোয়াটস অ্যাপে ভুয়া ভিসার কপি  পাঠিয়ে আরও টাকা দাবি করে প্রতারকরা। কিন্তু ভুক্তভোগীরা নিজেদের বিচক্ষণতায় প্রতারকদের কাছ থেকে পাওয়া ভিসাগুলো দিল্লির আয়ারল্যান্ড দূতাবাসে মেইল করে পাঠায়। পরে ওই দূতাবাস থেকে জানানো হয়, ভিসাগুলো সঠিক নয়। এরপরও প্রতারকরা তাদের কাছ থেকে ভিসা ও পাসপোর্টের বিনিময়ে আরও টাকা দাবি করে। তখন বাদী বিষয়টি পিবিআইকে জানান।
ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘বুধবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে এই চক্রের তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগী ছয় জনসহ মোট ১৩ জনের পাসপোর্ট, দুটি ল্যাপটপ, ডাচবাংলা ব্যাংকের চেকবই, দুটি প্লাস্টিকের ভুয়া সিল, টিম হর্টনস, মেনোনাইট নার্সিং হোমস ইনকরপোরেশনের নিয়োগপত্রসহ মানবপাচার ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।’
পিবিআই প্রধান বলেন, ‘এই চক্রের মাধ্যমে একজন ভুক্তভোগী লন্ডন যেতে চেয়েছিলেন ১২ লাখ টাকায়। ওই ভুক্তভোগী যাতে প্রতারিত না হন, সেজন্য তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এরপরও তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ওই ব্যক্তি এরইমধ্যে প্রতারকদের ৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। বাকি ৪ লাখ টাকা না দিলে তিনি লন্ডনে যেতে পারবেন না। প্রতারিত এই ব্যক্তি পিবিআই’র সঙ্গে যোগাযোগ না করে উল্টো আমাদের থেকে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রতারিত হন, তারা পুলিশের কাছে আসেন না। কারণ, তারা মনে করেন, পুলিশের কাছে আসলে লন্ডন যেতে পারবেন না। তারা যতক্ষণ পর্যন্ত সর্বস্বান্ত না হন, ততক্ষণ পুলিশের কাছে  আসেন না।

অনলাইন ডেস্ক

প্রিয় যশোর নিউজ২৪/৭


Post a Comment

0 Comments